Login

এসএসসি পদার্থবিজ্ঞানঃ অধ্যায় ১ঃ লেকচার ১ঃ ভার্নিয়ার স্কেল(Vernier Scale) ও স্ক্রু গেজ(Screw Gauge)

 

রাশি: ভৌত জগতে পরিমাপ যোগ্য সব কিছুকে রাশি বলে।

যেমন: দৈর্ঘ্য,ওজন,আয়তন, তাপমাত্রা, পরিবাহিতা, তাপ, চাপ, ঘনত্ব, বেগ, স্থিতিস্থাপকতা, গলনাক ইত্যাদি ।

রাশিকে ২ ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:

           ১. মৌলিক রাশি   ২. যৌগিক বা লব্ধ রাশি

১. মৌলিক রাশি: যে রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ এব যেগুলো অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না বর অন্যান্য রাশি এদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে মৌলিক রাশি বলে।

মৌলিক রাশি ৭টি। যথা: দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, বৈদ্যুতিক প্রবাহ, তাপমাত্রা, পদার্থের পরিমান, দীপন তীব্রতা ইত্যাদি

২. যৌগিক রাশি: যে সকল রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ নয় এব যেগুলো মৌলিক রাশির উপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশি থেকে লাভ করা যায় তাদেরকে যৌগিক রাশি বলে।

পরিমাপ: কোনো কিছুর পরিমান নির্নয় করাকে পরিমাপ বলে।

মাত্রা: কোনো ভৌত রাশিতে উপস্থিত মৌলিক রাশিগুলোর সূচককে ঐ রাশিটির মাত্রা বলে।

           যেমন: বলের মাত্রা ত্বরণের মাত্রা ইত্যাদি

মাত্রা সমীকরন: যে সমীকরনের সাহায্যে কোনো রাশির মাত্রা প্রকাশ করা হয় তাকে মাত্রা সমীকরণ বলে।

১০৩ করে গুন 👉

১০ করে গুন 👉

 

১০ করে গুন 👉

১০৩ করে গুন 👉

এটো

ফেমটো

পিকো

ন্যানো

মাইক্রো

মিলি

সেন্টি

ডেসি

ডেকা

হেক্টো

কিলো

মেগা

গিগা

টেরা

পেটা

এক্সা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উপসর্গ বা গুনিতক:

 

বৈজ্ঞানিক প্রতীক বা সকেত লিখার নিয়ম:

১. কোনো রাশির মান প্রকাশ করার জন্য একটি সখ্যা লিখে তারপর একটি ফাঁকা জায়গা রেখে এককের সকেতটি লিখতে হয়।

২. গুন করে লব্ধ রাশি লিখার সময় দুটি এককের মাঝে ফাকা দিতে হবে।

৩. ভাগ করে পাওয়া লব্ধ এককের বেলায় ঋনাত্বক সূচক বা চিহ্ন দিতে হবে।

৪.  প্রতীকগুলো যেহেতু গানিতিক প্রকাশ, কোনো কিছুর সক্ষিপ্ত রুপ নয়। তাই তাদের সাথে কোনো যতিচিহ্ন বা full stop ব্যবহার হয় না।

৫. এককের সকেত লেখা হয় সোজা অক্ষরে।

৬. রাশির সকেত লেখা হয় বাকা অক্ষরে।

৭. সাধারণত এককের সকেত ছোট হাতের অক্ষরে লেখা হয়

 আবার যদি বিজ্ঞানীর নাম থেকে একাধিক অক্ষর ব্যবহৃত হয় তবে শুধুমাত্র প্রথম অক্ষরটি বড হাতের হবে

৮.এককের উপসর্গ ও েএততের মাঝে কোনো ফাকা বা স্পেস হবে না।

৯. কিলো থেকে বড় সকল উপসর্গ বড় হাতের অক্ষরে ‍লিখতে হবে।

১০. এককের সকেতগুলো কখনও বহুবচন হয় না

১১. কোনো সখ্যা বা যৌগিক একক এক লাইনে লেখার চেস্টা করতে হবে। খুব প্রয়োজন হলে সখ্যা এব এককের মাঝে লাইন ব্রেক দেওয়া যেতে পারে।

মিটার স্কেল: ১০০ সেন্টিমিটার বা ১ মিটার লম্বা স্কেলকে মিটার স্কেল বলে।

ভার্নিয়ার স্কেল: কোনো বস্তূর দৈর্ঘ্য সূক্ষভাবে মাপার জন্য প্রধান স্কেলের সাথে যে সহায়ক স্কেলটি ব্যবহার করা হয় তাকে ভার্নিয়ার স্কেলে বলে।

ফরাসি গনিতবিদ পিয়েরে ভার্নিয়ার ১৬৩১ সালে ভার্নিয়ার স্কেল উদ্ভাবন করেন।

ভার্নিয়ার স্কেলের ক্ষেত্রে,

 দৈর্ঘ্য= প্রধান স্কেল পাঠ+ভার্নিয়ার সমপাতন×ভার্নিয়ার ধ্রূবক

ভার্নিয়ার ধ্রূবক: প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের চেয়ে ভার্নিয়ার স্কেলেরেএক ভাগ কতটুকু ছোট তার পরিমানকে ভার্নিয়ার ধ্রূবক বলে।

 ভার্নিয়ার সমপাতন: ভার্নিয়ার স্কেলের যে দাগটি প্রধান ‍স্কেলের দাগের সাথে মিলে যায় তাকে ভার্নিয়ার সমপাতন বলে।

স্ক্রর গেজ: স্ক্রর গেজ বা মাইক্রোমিটার শব্দটি গ্রীক শব্দ মাইক্রো থেকে নেওয়া হয়েছে। উহলিয়াম গ্যাসকইন প্রথম উদ্ভাবন করেন।

স্ক্রর গেজের ক্ষেত্রে,

ব্যাস=রৈখিক স্কেল পাঠ+স্ক্রর সমপাতন×লঘিষ্ঠ গনন

পিচ: স্ক্র গেজের স্কেলটি সম্পূর্ন একবার ঘোরালে স্ক্রটি যতটুকু সরে আসে, তাকে স্ক্রর পিচ বলে।

লঘিষ্ঠ গনন: স্ক্র গেজের বৃত্তাকার স্কেলের মাত্র একভাগ ঘোরালে স্ক্রটি যতটুকু সরে আসে, তাকে যন্ত্রের স্ক্রর পিচ বলে।

ভার্নিয়ার ধ্রূবক নির্নয়

ভার্নিয়ার ধ্রূবক v.c.=

ভার্নিয়ার ধ্রূবক= মুল স্কেলের ক্ষুদ্রতম ১ভাগ-ভার্নিয়ার স্কেলের ক্ষুদ্রতম ১ ভাগ

দ্রষ্টব্য: মুল স্কেলের ও ভার্নিয়ার স্কেলের ঘরের পার্থক্য ১ হলে v.c= প্রযোজ্য হবে

পরিমাপে ত্রূটি ও নির্ভুলতা

আপেক্ষিক ত্রূটি: কোনো রাশির পরম ত্রূটি ও প্রকৃত মান এর অনুপাতকে আপেক্ষিক ত্রূটি বলে।

আপেক্ষিক ত্রূটি=

চুড়ান্ত ত্রূটি: কোনো রিাশি পরিমাপ করার সময় সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ত্রূটিকে চুড়ান্ত ত্রূটি বলে।

যান্ত্রিক ত্রূটি: ভার্নিয়ার বা বৃত্তাকার স্কেলের শূন্য দাগ যদি প্রধান বা রৈখিক স্কেলের শূন্য দাগের ‍সাথে মিলে না যায়, তাহলে যন্ত্রে যে ত্রূটি দেখা যায় তাকে যান্ত্রিক ত্রূটি বলে।

পরম ত্রূটি: কোনো একটি রাশির প্রকৃত মান ও পরিমাপকৃত মানের পার্থক্যকে পরম ত্রূটি বলে।

ব্যক্তিগত ত্রূটি: পর্যবেক্ষকের নিজের কারনে পাঠে যে ত্রূটি আসে তাকে ব্যক্তিগত ত্রূটি বলে।

দৈব ত্রূটি: কোনো একটি  ধ্রূব রাশি কয়েকবার পরিমাপ করলে যে ত্রূটির কারনে পরিমাপকৃত মানে অসামঞ্জসতা দেখা যায় তাকে দৈব ত্রূটি বলে।





0 Comments:

Post a Comment

🤔 কিছু জানতে চাইলে কমেন্টে লিখুন !